মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ছবিসহ ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচি চালু হতে যাচ্ছে।
যাদের বয়স ০১/০১/২০০৭ এর পূর্বে তারা এই হালনাগাদ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।

যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন
নতুন ভোটের হতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে এমন প্রশ্ন সবার মাঝেই থাকে। এই বিষয়ে কিছু ধারণা জেনে নেয়া যাক:
১/ অনলাইন জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি।
২/ নাগরিক সনদপত্র (চেয়ারম্যান অফিস হতে)
৩/ শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ ফটোকপি। (যদি থাকে)
৪/ পিতা-মাতার এন.আই.ডি ফটোকপি।
৫/ রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার রিপোর্ট ফটোকপি।
৬/ হোল্ডিং/টেক্স রশিদের ফটোকপি।
৭/ পাসপোর্ট ফটোকপি। (যদি থকে)
৮/ বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এন.আই.ডি ফটোকপি।
জন্মনিবন্ধন নিয়ে কিছু তথ্য
এখানে জন্মনিবন্ধন নিয়ে কিছু কথা বলতে হয়। যাদের জন্মনিবন্ধন ইংরেজিতে করা না থাকে তারা নিজ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইংরেজি সনদটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন, কারন ভোটার আইডিতে ইংরেজি বানানে বেশিরভাগ সময় ভুল হয়ে থাকে।
প্রবাসী অথবা পাসপোর্ট ধারী ব্যক্তিরা নতুন ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচি অংশ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
যেমন পাসপোর্ট এর সাথে নামের মিল উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে আপনার পাসপোর্টে নাম দিয়েছেন MOHAMMAD HOSSAIN ALI SARKAR কিন্তু ভোটার হালনাগাদ করার সময় MD HOSSAIN ALI SARKAR মনে রাখতে হবে MD দিয়ে কোনো সময় MOHAMMAD এর পরিপূর্ণ শব্দ হয় না।
এখানে অনেকে প্রশ্ন করবেন জন্মনিবন্ধন ফটোকপি জমা দিয়ে ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচিতে অংশ করা হচ্ছে এখানে ভুল হবে কিভাবে
সমস্যা হচ্ছে যারা দায়িত্ব পালন করেন অনেক সময় তাদের দায়িত্ব অবহেলা কারনে এই ভুলগুলো হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী তারা এই ভুল কাজ গুলো করে থাকে।
আর যারা এম.আর.পি পাসপোর্ট ধারী কিন্তু এখনো বিদেশে ভ্রমণ করেন নাই তারা চাইলে ভোটার হালনাগাদ করার সময় যে কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। পরবর্তী ই-পাসপোর্ট করার সময় আইডি সাথে মিল রেখে পাসপোর্ট করে নিবেন। এখানে আরেকটি কথা ক্লিয়ার করে থাকা ভালো এম.আর.পি পাসপোর্ট মেয়াদ থাকা কালীন অন্য দেশে ভিজিটে ভ্রমণ করতে পারবেন তবে স্থায়ী ভাবে থাকা চাইলে (প্রবাসী) এম.আর.পি পাসপোর্ট বাদ দিয়ে নতুন ই-পাসপোর্ট করে নিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে যে বিষয় লক্ষ রাখতে হবে
পূর্বে এম.আর.পি পাসপোর্ট এর সাথে এন.আই.ডি (NID) কার্ডের সাথে মিল না থাকলে ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এম.আর.পি (MRP) পাসপোর্ট এর তথ্য হালনাগাদ করা যাবে না। বর্তমানে বেশিরভাগ পাসপোর্ট তথ্য মিল না থাকার কারনে ই-পাসপোর্ট আটকিয়ে দেওয়া হয়।

বাবা-মা এন.আই.ডি সাথে তথ্যের মিল
সবার প্রয়োজন বাবা-মায়ের (NID) তথ্যের মিল থাকা। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের এন.আই.ডি সাথে কিছু তথ্য গড়মিল থাকে। কিছু উদাহরণ
ধরা যাক এক পরিবারের পিতার নাম মোহাম্মদ আলি সরকার, মাতার নাম মাহমুদা আক্তার
পরিবারের সন্তান তিনজন
বড় সন্তান বাবার নাম দিয়েছেন মোঃ আলি সরকার মাতার নাম দিয়েছেন মাহমুদা বেগম
মেজ সন্তান বাবার নাম দিয়েছেন আলি সরকার মাতার নাম দিয়েছেন মাহমুদা আক্তার
ছোট সন্তান নতুন ভোটার হালনাগাদ করবেন সে কি তথ্য দিবে?
তাই সবার উচিত বাবা-মার এন.আই.ডি সাথে তথ্য মিল রেখে ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করা।
এবং বাবা-মায়ের উচিত এই বিষয়ে নিজে তদারকি করা।
নামের ভুল ও এরিয়া পরিবর্তন
অনেকে আমাদের ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে জানতে চাচ্ছেন পূর্বে ভোটার হয়েছেন নামের ভুলের কারণে আবার নতুন করে ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করা যাবে কিনা। আবার অনেকে শহরে ভোটার হয়েছেন এখন চাচ্ছেন গ্রামে ভোটার হতে সেটি করা যাবে কিনা।
প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি
যাদের পূর্বের এন.আই.ডি আছে তথ্যের ভুলের কারণে নতুন করে এন.আই.ডি করতে চাচ্ছেন সেটি আইনগত দন্ডিত অপরাধ। বর্তমানে খুব সহজে ভুল তথ্য সংশুদ্ধণ করা যায়। ভুল সংশুদ্ধণ করার জন্য ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে তা দেখে নিজেই সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবেন।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর
যারা পূর্বে অন্য জেলায় ভোটার হয়েছেন এখন নতুন করে নিজ জেলায় ভোটার হতে চাচ্ছেন এটি আইনগত দন্ডিত অপরাধ। এই সমস্যা সমাধানের জন্য যে একালায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন সে এলাকার যথাযথ তথ্য প্রমাণাদি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেই ভোটার এরিয়া পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
শেষ করার আগে একটি কথা বলা দরকার তথ্য ভুল সংশুদ্ধণ করার ঝামেলার থেকে বাঁচতে পূর্বে সকল তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিন।