মুরাদনগর উপজেলায় নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিয়োগ উঠেছে আওয়ামীলের মনোনিত প্রার্থী আ: লতিফ সরকারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রহিমা ইসলাম মুরাদনগর থানায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করে।

আ: লতিফ সরকার উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনিত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী।

লাঞ্ছিত হওয়া মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম(৬৫) উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের মৃত আ: লতিফের সন্তান ও সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউপ নির্বাচনে আ’লীরে মনোনিত প্রার্থী আ: লতিফ সরকার ও তার সমর্থকদের নিয়ে শনিবার নির্বাচনি প্রচারনায় বাহির হন। এরই অংশ হিসেবে দুপুরে মির্জাপুর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রার্থী লতিফ সরকার ও সমর্থকরা হাজির হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি চায় মুক্তিযুদ্ধাসহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ রফিকুল ইসলাম “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব” বলা মাত্র তাকে সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের লাঞ্ছিত করে এবং গলায় কাপর পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। রফিকুল ইসলাম ও ভাই সফিকুল ইসলামকে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিলে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: লতিফ সরকার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা আমার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধাকে ব্যাবহার করছে। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

কপিরাইটঃ মুরাদনগর বার্তা.কম

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *