শিক্ষার্থীদে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মুরাদনগরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার পদত্যাগের দাবিতে করা মিছিলে জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের আনা হয়েছে বলে করা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুরাদনগরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

৪ মে বিকেলে মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা। এছাড়াও অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ কলেজ, কোড়েরপাড় আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজসহ মুরাদনগরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

জানাযায,কুমিল্লার মুরাদনগরে গত ৩০ এপ্রিল অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে মুরাদনগরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা। শিক্ষার্থীদর মিছিলের শুরুতেই ব্যানার কেড়ে নেয় মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান।

মিছিলের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার দৃশ্য ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার নিজ উপজেলায় তার পদত্যাগের দাবি দেশব্যাপী ভাইরাল হয়। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের বাধার কারন জানতে চাইলে ওসি বলেন,- আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল করেছে তাই বাধা দিয়েছি।

যদিও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জুলাই আগষ্ট আন্দোলনে নিজেদের নেতৃত্ব দেওয়ার ভিডিও দেখিয়ে ওসির বক্তব্য মিথ্যাচার দাবি করেন।

সেদিন আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া সমর্থকরা পদত্যাগের দাবিতে করা মিছিল আওয়ামী লীগের লোকজন করেছে বললেও আজ ৪ মে কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে জোরপূর্বক শিক্ষার্থী এনে মিছিল করেছে এমন অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিক্ষোভ মিছিলে আসা বিক্ষোভকারীদের কার বিরুদ্ধে মিছিল করছেন? কেন করছেন? এমন প্রশ্ন করে কোন জবাব মিলেনি।

আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া সমর্থকদের দুরকম বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা -সমালোচনা চলছে।

জুলাই আগষ্ট আন্দোলনে মুরাদনগরের কোম্পানিগন্জে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেন- নিজের জিবন বাজি রেখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। যার ভিডিও রয়েছে। অথচ যারা আমাদের আন্দোলনে বাঁধা দিয়েছে তারাই আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার লোক। আর আমাদেরকে বলে আমরা নাকি বৈষম্য বিরোধী আনদোলনের কেউ না? বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করে আমরাই বৈষম্যের শিকার

জোরপূর্বক কলেজ থেকে শিক্ষার্থী নেওয়ার দাবি অস্বীকার করে কাজী নেমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.সাত্তার মিয়া বলেন- শিক্ষার্থীরা কলেজে আসে পড়াশোনা করার জন্য। তাদের সাথে আমাদের পাঠদানের সম্পর্ক। কোন আন্দোলনে মিছিলে পাঠানো তো আমাদের কাজ না। আর জোর করার প্রশ্নই আসে না। শিক্ষার্থীদের সাথে মিছিল নিয়ে কোন কথাই হয়নি

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *