মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের কামাল্লা গ্রামের পালপাড়ার প্রায় ৪০ টি পরিবারের মানুষ পূর্ব পুরুষের পেশাকে আজও আঁকড়ে ধরে আছেন। তাদের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এখানো তৈরী করে আসছেন কাদামাটির পণ্যসামগ্রী। সুনিপুন হাতে মাটি দিয়ে হাড়ি-পাতিল, কলসী, থালা-বাটি, সরা-বাসন প্রভৃতি তৈরীকৃত জিনিসপত্র বিক্রি করেই সংসার চলে তাদের। সরজমিনে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে অনেকের কাজ নেই বেকার সময় পার করছেন এই কমল্লার কুমার পাড়ার পরিবারেরা।

নিভৃত পল্লী অঞ্চলের মধ্য কুমার পালপাড়ায় পুতুল রানী পাল, মালতী রানী পাল, পুনল রানী পাল,সুমা রানী পাল, ও রাখাল চন্দ্র রুদ্র পাল সহ আরও কথা হয় অনেকের সঙ্গে। তারা জানান, অতীতে গ্রাম-গঞ্জে মাটির তৈরী পণ্যসামগ্রীর কদর ছিলো অনেকা বেশী। এসব পণ্য শোভা পেত প্রত্যেক বাড়িতে। গ্রীষ্মকালে মাটির কলসির এক গ্লাস পানি যেন দুর করে দিত সব ক্লান্তিকে। এছাড়া গৃহস্থালির নিত্যব্যবহার দ্রব্যাদি, পুতুল, খেলনা, প্রতিমা, প্রতিকৃতি, ফুলের টপসহ অসংখ্য জিনিস আজও তৈরি হয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তবে ইদানিং প্রযুক্তির ব্যবহার ও আধুনিকতার ছোয়ায় দিন দিন তা হারিয়ে যেতে বসেছে।
বর্তমানে এ ব্যবসায় মন্দাভাব থাকায় এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের চলছে দুর্দিন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে মাটির পণ্য তৈরী ও তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন কামাল্লার কুমারপাড়ার পরিবারের মানুষরা।
কুমারপাড়া মানুষ তারা বার বার মুরাদনগর উপজেলা ফেসবুক পেজের টিমের কাছে অনুরোধ করছেন উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা, এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদের জন্য কিছু করা জন্য।

মুরাদনগর উপজেলা ফেসবুক পেজের এডমিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব অভিষেক দাশ মহোদয়ের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের আশ্বাস দেন সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে তাদের জন্য কিছু সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব অভিষেক দাশ মহোদয় নিজে উপস্থিত থেকে ৪০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

ত্রাণে যা ছিল
চাল ৬ কেজি
আটা ১ কেজি
তাল ১ লিটার
মসুরির ডাল ১ কেজি
লবণ ১ কেজি

ত্রাণ দেয়ার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার জনাব
প্রদীপ কুমার সাহা। উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার সদস্য
ও মুরাদনগর উপজেলা ফেসবুক পেজের টিম।