জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সরকার উদযাপন করছে মুজিব বর্ষ হিসেবে। এই মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার বাংলাদেশী কোন ভূমিহীন থাকবেনা তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে ভূমি এবং গৃহ প্রদানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অন্যতম উদ্যোগ হল প্রকল্প আশ্রয়ন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে যাদের জমি নেই বাড়ি নেই তাদেরকে জমি এবং বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। এবং তারই অংশ হিসেবে এই মুরাদনগর উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৩০৬ টি পরিবারের দৃঢ় এবং ভূমি প্রদানের কার্যক্রম সরকার গ্রহণ করেছে তার প্রেক্ষিতে মুরাদনগর উপজেলায় ৩০৬টি বাড়ি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ৫৬টি পরিবারকে ঘর এবং জমি হস্তান্তর করেছে। ইতিমধ্যে সেখানে কিছু পরিবার বসবাস শুরু করেছে। আর ২৫০ টি ঘরের নির্মাণের কার্যক্রম এখনো চলমান আছে। মুরাদনগর উপজেলার ২২ টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম চলমান আছে।
তার মধ্যে মুরাদনগর সদর ইউনিয়নে ২৯টি ঘরের কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তার মধ্যে ঘোড়াশাল গ্রাম রয়েছে মোট ১৭টি ঘর ৩টি স্পটে এর মধ্যে ১১টি উপকারভোগীরা ইতিমধ্যে তাদের কাগজপত্র এবং তাদের ঘর বুঝে পেয়েছেন এবং ধনিরামপুরে রয়েছে ২টি স্পটে ১০টি ঘর। এর মধ্যে উপকারভোগীরা ইতিমধ্যে তাদের কাগজপত্র এবং তাদের ঘর বুঝে পেয়েছেন সেখানে তারা কেউ কেউ বসবাস শুরু করেছেন। এবং বড় অলিরচরে রয়েছে ২টি ঘর। প্রত্যেক স্পটে তাদেরকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে এবং সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ডিপ টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব অভিষেক দাশ বলেন, সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে যেকোনো ধরনের ভূমিহীন এবং গৃহহীন মানুষ যাতে না থাকে এবং সেটি প্রশাসন কিন্তু বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। তাঁরা তালিকা করছেন সেই তালিকার উপর ভিত্তি করে প্রশাসন বরাদ্দ দিচ্ছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যতদিন পর্যন্ত ভূমিহীন থাকবে ততদিন পর্যন্ত বাস্তবায়ন চলবে।