কুমিল্লা জেলার মুরানগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ২নং আকবপুর ইউনিয়নে কোড়েরপাড় আদর্শ ডিগ্রি কলেজটি ১৯৯৬ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে কোড়েরপাড় আদর্শ মহিলা কলেজে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষা বর্ষ থেকে সহ-শিক্ষা চালুকরণের লক্ষ্যে উক্ত কলেজের নাম পরিবর্তন করে কোড়েরপাড় আদর্শ কলেজের নাম নমকরণ করা হয়।
এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এফসিএ) জাতীয় সংসদ সদস্য।
প্রতিষ্ঠানটি ৩.৫৭ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। যার রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ। আর সেই ভূমির দাতা হলেন আলহাজ্ব মোঃ ইব্রাহীম সরকার। কলেজটির শুরুর দিকে সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন TNO । বর্তমানে সভাপতি হিসাবে আছেন জানাব মোঃ সামসুজ্জামান। প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে ছিলেন জনাব শামসুল হক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসাবে আছেন জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম সরকার।
পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দৃষ্টি নন্দন প্রকৃতি ঘেরা সাড়া জাগানো প্রতিষ্ঠানটি যেন একটি ফুলের বাগান। আঙ্গিঁনার চারপাশে হরেক রকমের ফুল-ফল ও বৃক্ষের ছায়া ঘেরা মায়া জড়ানো প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠেছে শান্তির নীড়। চোখ জুড়ানো মন ভোলানো প্রতিষ্ঠানের অবয়ব উপজেলা জুড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে । তাই প্রতিষ্ঠানের পাশ দিয়ে চলতে চোখ ধাধাঁনো দৃশ্য দৃষ্টি গোচর হলে চোখ ফেরানো দায়। ফলে আনন্দে আত্মহারায় পাঠ গ্রহনকারীরা হয়ে উঠেন বাগানে বিচরন করা অপরুপ সৌন্দর্য্য মাখা পরীর রুপে। সবুজের সমারোহে ঘেরা এ প্রতিষ্ঠানটিতে একটি শহীদ মিনার রয়েছে। রয়েছে বিশাল বিশাল ভবন।

এই ১৯৯৭ সনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা কর্তৃক একাডেমিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয় এবং ০১/০৪/১৯৯৯ তারিখ হইতে এমপিও ভূক্ত হয়। কলেজটি ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ, বিএসএস, বিবিএস অধিভূক্তি লাভ করে। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স (বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম) চালু হয়।
বর্তমানে মোট ৭ টি বিষয়ের মাধ্যম পাঠদান চলছে ( বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সমাজকর্ম, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং ও ফাইনান্স) বর্তমানে উক্ত কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) এবং স্নাতক (সম্মান) কোর্সে প্রায় ১২০০-১৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত; যার বেশীর ভাগই ছাত্রী, এর মধ্যে প্রায় ৪০০ জন অনার্স-ডিগ্রিতে আছেন। প্রতিষ্ঠানটি শুরুর সময় ৪০০ জন ছাত্রী নিয়ে তার পাঠদান শুরু হয়। এখানে রয়েছে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল ক্লাসরোমের ব্যবস্থা। এই করোনা মহামারীর সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকগণ অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পাঠদান কর্যক্রম পরিচালনা করছেন।
বিগত বছরগুলোতে পাবলিক পরীক্ষায় A+ সহ শতভাগ ফলাফল অর্জন করে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চমাধ্যমিকে গড় ফলাফল ৮০-৮৫%।
যেই সকল শিক্ষার্থীগণ এ+ নিয়ে কলেজে ভর্তি হয় তাদের জন্য রয়েছে ৫০০০ টাকা বৃত্তির সুবিধা, এবং রয়েছে সে সকল মেধাবী ও আর্থিক ভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বেতন মওকুফের সুবিধা।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৮০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছেন এর মধ্যে ৭০ জন শিক্ষক নিয়োগ আছেন।
আমাদেরকে তথ্য প্রধানে সাহায্য করেছেন উক্ত প্রতিষ্ঠানটির জনাব শাহাব উদ্দিন ও জনাব মোসা: রাজেয়া সুলতানা।